১০ টি আমল, যা আপনাকে আল্লাহর কাছে করবে আরো সম্মানিত ( শায়েখ আহমদুল্লাহ )
জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের ফজিলত ও তাৎপর্য বর্ণনা করতে গিয়ে নবীজি (সা.) স্পষ্টভাবে বলেছেন, 'আল্লাহ তাআলার কাছে এই ১০ দিনের ইবাদত অন্যান্য দিনের ইবাদতের চেয়ে বেশি প্রিয়। যদিও সেই ইবাদত নফল নামাজ, জিকির, তাসবিহ কিংবা সদকা হয়।' (বুখারি : ৯৬৯) অন্য হাদিসে তিনি বলেন, 'এই দিনগুলোর একেকটি রোজা এক বছরের রোজার সমতুল্য। এই ১০ রাতের প্রতিটি রাতের ইবাদত শবেকদরের ইবাদতের সমতুল্য।' (তিরমিজি শরিফ : ৭৬৩)
জিলহজের প্রথম ১০ দিনের আমল
জিলহজের চাঁদ উদিত হওয়ার পরপরই মুসলিম উম্মাহর জন্য নিম্নোক্ত আমলগুলো করা সুন্নত। তাহলিল তথা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ' অধিক হারে পড়া। তাকবির পড়া। বেশি বেশি জিকির করা। প্রথম আট দিন রোজা রাখা। বিশেষত আরাফার দিন রোজা রাখা। কিয়ামুল লাইল তথা রাত্রি জাগরণ করা। কারণ প্রতিটি রাতের বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা শবেকদরে ইবাদতের সওয়াব দেবেন। চুল, নখ ইত্যাদি না কাটা। সদকা তথা দান-খয়রাত করা।
তওবা করা। বিশেষ করে আরাফার দিন আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। কেননা সেদিন আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের এত বেশি ক্ষমা করেন, যা বছরের অন্য কোনো দিন করেন না। ১০ জিলহজ কোরবানি করা। যদি কোনো কারণে সেদিন কোরবানি করা সম্ভব না হয়, তাহলে ১১ ও ১২তম তারিখ সূর্যাস্তের আগেই কোরবানি করা যাবে।
উল্লেখ্য যে ওপরে বর্ণিত আমলগুলোর মধ্যে জিলহজের চাঁদ উদিত হওয়ার পরপরই তিনটি কাজ করা সুন্নত। এক. কোরবানির পশু জবেহ না করা পর্যন্ত নখ, চুল ইত্যাদি না কাটা। দুই. ১০ তারিখের আগ পর্যন্ত রোজা রাখা। তিন. রাতে যথাসম্ভব জিকির ইত্যাদি নফল ইবাদত করা।
0 Comments