ads

বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করলেন কাবা পৃথিবীর প্রথম জমিন । আল্লাহর কুদরত

বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করলেন কাবা পৃথিবীর প্রথম জমিন । আল্লাহর কুদরত





মক্কা আর মদিনা- মহাকাশ অঙ্গনে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা সম্পর্কে সুনিতা উইলিয়াম নিজেই বলেছেন যে, ‘আমি যখন পৃথিবী থেকে প্রায় ২৪০ মাইল উপরে উঠলাম, তখন পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে পৃথিবীপৃষ্ঠে দুটি তারা (আলো) দেখতে পেলাম। এর পর একটি টেলিস্কোপের মাধ্যমে আলো দুটি দেখার চেষ্টা করলে দেখি, একটি আলোর অবস্থান মক্কায় আর অন্যটি মদিনায়। এই দৃশ্য দেখার পর আমি প্রচণ্ডভাবে অভিভূত হই এবং তখনই ইসলাম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিই। পরে ইসলাম গ্রহণ করি ফিরে এসে। https://youtu.be/XgQ8f65ZccY একটি নভোযান পাঠানো হলো বরাবরের মতোই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা থেকে। ২০০৬ সালের কথা। যে অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল ছিল মহাকাশের খোঁজখবর সংগ্রহ করাই।অন্য গবেষকদের সঙ্গে সে নভোযানে অবস্থান করছিলেন সুনিতা উইলিয়াম। মহাকাশ গবেষণাযানটি যখন পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ২৪০ মাইল উপরে, হঠাৎ নিচের দিকে চোখ আটকে যায় সুনিতার। পৃথিবী পৃষ্ঠে তারার মতো তিনি দুটি আলো জ্বলতে দেখলেন। তখন চিন্তায় পড়ে গেলেন সুনিতা; ভাবলেন, পৃথিবীপৃষ্ঠে তো কোনো আলোকশিখা থাকার কথা নয় এভাবে জ্বলে থাকার মতো। সঙ্গীদের ডেকে দেখালেন এবং টেলিস্কোপের সাহায্যে আলো দুটিকে নির্ণয় করার চেষ্টা চালালেন। তবে এই আলোকরশ্মি দুটি কি? নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে কষ্ট হলো সুনিতার। আরো কাছে, আরো পরিষ্কারভাবে দেখলেন, আলো দুটির কেন্দ্রস্থল পৃথিবীর মক্কা ও মদিনা। মহাকাশমুখি এই আলোকরশ্মি দুটি বিকিরিত হচ্ছে মক্কা শহরের কেন্দ্রস্থল ও মদিনা শহরের কেন্দ্রস্থ থেকে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনিতা উইলিয়াম ১৯৬৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ায়ো অঙ্গরাজ্যের ‘ইউক্লিডে’ জন্মগ্রহণ করেন। বাবা দীপক পাণ্ডে ও মা বনি পাণ্ডে উভয়ই ছিলেন ভারতীয় হিন্দু। সব জল্পনা-কল্পনা এবং সন্দেহ-কানাকানির ইতি টেনে গত রমজান মাসে ওমরাহ পালন করতে এসে নিজের মুসলমান হওয়ার ঘোষণা দিলেন সুনিতা উইলিয়াম এবং গর্ব করে বললেন, ‘আমি এখন একজন মুসলমান, এটা ভাবতেই আমার ভালো লাগছে।’ নাসার প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক সুনিতার ইসলাম গ্রহণ করা বিষয়ে তাঁকে চেনেন বা জানেন এমন অনেকের মন্তব্য ছিল অনেকটাই এরকম- ‘আর কারো পক্ষে সম্ভব হলেও সুনিতার পক্ষে এটা কখনো সম্ভব নয়। কারণ সে ছিল ইসলাম বিদ্বেষী’। আর আমি এখন একজন মসলমান।’ ইসলাম গ্রহণ করা নিয়ে শত জল্পনা-কল্পনার ইতি টেনে ওমরাহ পালন করতে আসা সুনিতা উইলিয়াম জেদ্দার হোটেল হিলটনে বসে এভাবেই ব্যক্ত করছিলেন তাঁর ইসলাম গ্রহণ করার কাহিনী। সাংবাদিকদের শোনাচ্ছিলেন তাঁর মুসলমান হওয়ার রোমাঞ্চকর গল্প। এ সময় তিনি ইসলাম গ্রহণ করার নেপথ্যে থাকা ঘটনা ব্যক্ত করার পাশাপাশি উত্তর দেন উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও। মক্কা-মদিনার দুর্লভ কিছু তথ্য: পবিত্র মক্কা ও পবিত্র মদিনা শরিফে যাবার নসিব সবার হয় না। যাদের হয় তারা বড়ই ভাগ্যবান। যারা যেতে পারেন না তারাও অধীর আগ্রহে জানতে চান এ পবিত্র দুই হারাম সম্পর্কে। আসুন, ঈমানদীপ্ত মানুষের স্বপ্নের ঠিকানা.. হৃদয়ের তীর্থস্থান..দুই হারাম শরিফের কিছু তথ্য জেনে নিই ,,, মক্কাস্থ হারাম শরিফের মূল কাঠামোর আয়তন: ৬১১, ৮০৩ স্কোয়ার ফিট আর মদিনা হারাম শরিফের আয়তন: ৩৭৬,৫০৩ স্কোয়ার ফিট মক্কার হারাম শরিফে হজ্ব ও ওমরাকারীদের সেবায় রয়েছে: ১২,০০০ হাতচালিত ট্রলি, ২০ গল্ফ কার, ৩০০ বৈদ্যুতিক ট্রলি আর মদিনার মসজিদে নববিতে জিয়ারতকারীদের জন্য রয়েছে: ৩,৫০০ হাতচালিত ট্রলি ও ৪০ গল্ফ কার: বছরে পবিত্র কুরআনের ১,২০০,০০০ টি কপি মক্কা শরিফে এবং ৪৯৬,০৮০টি কপি মদিনা শরিফে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। মৌসুমে প্রতিদিন মক্কায় ৮৪০ টন আর মদিনায় ৪৫০ টন জমজমের পানি পান করে থাকেন হজ্ব, ওমরা ও জিয়ারতকারীগণ। হারামে মক্কিকে প্রতিদিন ৫ বার আর হারামে মদিনাকে ৩ বার পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন করা হয়। ৩৬২৮ লাউডস্পিকার রয়েছে মক্কায়। মদিনায় রয়েছে ৩০৪৭ লাউডস্পিকার। বছরে মক্কা শরিফে ৪০০০ টি ইলমি দরস আর মদিনা শরিফে ৬৯৫৪ ইলমি দরসের ব্যবস্থা করা হয়। মক্কার হারাম শরিফের দরজা সংখ্যা: ২১০ আর মদিনার হারাম শরিফের দরজা সংখ্যা: ১০০ বিগত ১০ বছরে ২৪, ০০০, ০০০ মিলিয়ন মু’মিন-মুসলমান পবিত্র হজ্ব ও ওমরা পালন করেছেন। আল্লাহ সবাইকে পবিত্র মক্কা ও মদিনার জিয়ারত নসিব করুন। কাবাঘরের জমিনটুকু হচ্ছে পৃথিবীর প্রথম জমিন ইসলামী জ্ঞানের তথ্যমতে পৃথিবীতে ভূমির সৃষ্টি হয় মক্কায় অবস্থিত কাবা ঘরের ল করেছেন। দুনিয়াজুড়ে মুসলমানদের এই কিবলা তথা কাবা শরিফ সম্পর্কে নানা বিষয় জানতে আমরা সবসময়েই আগ্রহী হই- তবে এর সবটা হয়তো জানা হয় না। এই সুযোগে কাবা সম্পর্কিত কিছু আশ্চর্যজনক তথ্য জেনে নেয়া যাক। অনেকেই হয়তো এ বিষয়গুলো সম্পর্কে অবহিত নন। আসুন, বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক- ১) কাবা শরিফের সংস্কার: প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন বন্যা ও শত্রুদের আক্রমণের কারণে বেশ কয়েকবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পবিত্র কাবা শরিফ। তাই বেশ কয়েকবারই ক্ষতিগ্রস্ত কাবাকে পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে। সর্বাধিক নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক তথ্য মতে, কাবাকে এ পর্যন্ত ১২ বার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। বিভিন্ন বিপর্যয়ের হাত থেকে সংরক্ষণ করতে কাবা শরিফকে সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে আধুনিক ও শক্তিশালী প্রযুক্তির প্রয়োগে সংস্কার করা হয়। কাবা পুনঃসংস্কারের সঙ্গে সঙ্গে ১৯৯৬ সালে হাতিমে কাবাও পুনঃনির্মাণ করা হয়। পবিত্র কাবা শরিফ নির্মাণ-পুনঃনির্মাণে বিভিন্ন যুগে হজরত আদম (আ.), হজরত ইব্রাহিম (আ.), হজরত ইসমাইল (আ.) এবং আখেরি নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.)ও অংশগ্রহণ করেছিলেন। ২) কাবার গিলাফের রং পরিবর্তন: ‘কিসওয়া’ হলো কালো রংয়ের কাপড়। যা দ্বারা কাবা শরিফকে ঢেকে দেয়া হয়। কিন্তু অনেকেরই জানা নেই যে এ কিসওয়া বা গিলাফ সবসময় কালো ছিল না। প্রথমদিকে জরহাম গোত্রের শাসনামলে তাদের নিয়মানুযায়ী কিসওয়া দ্বারা কাবা শরিফের আচ্ছাদন সর্বপ্রথম শুরু হয়। পরবর্তীতে প্রিয়নবী (সা.) ইয়েমেনি সাদা কাপড় দিয়ে পবিত্র কাবাকে ঢেকে দেন। বিভিন্ন খলিফাদের আমলে লাল, সাদা, সবুজ রঙের কিসওয়াও ব্যবহার করা হতো। আব্বাসীয় খলিফাদের আমলে পবিত্র কাবা

Post a Comment

0 Comments