মযম কূপের অজানা রহস্য | Zamzam Water | যমযম পানি | The Best water on Earth | Saudi Arabia
আরবি ভাষায় 'জমজম' শব্দের অর্থ হলো অঢেল পানি। মহান স্রষ্টার অন্যতম নিদর্শনগুলির মধ্যে, অন্যতম হচ্ছে জমজম কূপ। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, এই কূপের পানি সৃষ্টির পর থেকে, আজ পর্যন্ত, এক মুহূর্তের জন্যেও, নিঃশেষ, বা শুকিয়ে যায়নি। জমজম কূপ বিশ্বের এক অন্যতম নিদর্শন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘ভূপৃষ্ঠের মধ্যে সর্বোত্তম পানি, জমজমের পানি। তাতে ক্ষুধার্ত ব্যক্তির খাদ্য, ও অসুস্থ ব্যক্তির আরোগ্য রয়েছে। ’ (তাবরানি-১১১৬৭) * সাহাবাগণ ও পূর্বের মনীষীগণ, মেহমানদের জমজমের পানি উপহার দিতেন। (আখবারে মক্কা) * রাসুল (সা.) আরও বলেছেন, ‘যে উদ্দেশ্যে জমজমের পানি পান করা হয়, আল্লাহ তায়ালা তা কবুল করেন। ’ (আহমদ, ইবনে মাজাহ) এটি কাবা থেকে, ২০ মি. দূরে অবস্থিত। কূপটি প্রায় ৩০ মিটার গভীর, এবং এর ব্যাস ১.৮ থেকে, ২.৬৬ মিটার পর্যন্ত । মাটি থেকে প্রায় ১০.৬ ফুট নিচে জমজম কূপের পানির স্তর। কখনো কখনো, জমজমের পানি ৮,০০০ লিটার প্রতি সেকেন্ড, ২৪ ঘণ্টা ধরে পাম্প করা হয়। তখন পানির স্তর, ৪৪ ফুট নিচে নেমে যায়। কিন্তু পাম্প বন্ধ করার মাত্র ১১ মিনিটের মধ্যে, তা উঠে আসে ১৩ ফুট ওপরে!!!! প্রতি সেকেন্ডে, ৮০০০ লিটার পানি পাম্প করার মানে হচ্ছে, এক দিনে প্রায় ৬৯০ মিলিয়ন লিটার, পানি উত্তোলন হয়। তাই বিজ্ঞানীরা ভেবে অবাক হন, যে কিভাবে ১১ মিনিটের মাথায় তা আগের অবস্থায় ফিরে আসে! অনেকেই মনে করেন, যে জমজম কূপ ইসমাইল (আঃ) এর পায়ের আঘাতে নির্মিত হয়েছিল, কিন্তু সহীহ বুখারীতে এসেছে- ... তখন তিনি (জিবরাঈল) তাঁর পায়ের গোড়ালি দ্বারা এরূপ করলেন অর্থাৎ গোড়ালি দ্বারা জমিনের উপর আঘাত করলেন। রাবী বলেন, তখনই পানি বেরিয়ে আসল। এ দেখে ইসমাঈল (আঃ)-এর মা (হাজেরা) অস্থির হয়ে গেলেন এবং এবং চারপাশে বাঁধ দিয়ে একে হাউজের মত করে দিলেন। রাবী বলেন, এ প্রসঙ্গে আবুল কাসিম [রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন, হাযেরা (আঃ) যদি একে তার অবস্থার উপর ছেড়ে দিতেন তাহলে পানি বিস্তৃত হয়ে যেত। সহিহ বুখারী, হাঃ '3364' (অধ্যায়ঃ নবীদের কাহ
0 Comments